২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২৬ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
হুসাইন মোহাম্মদ (রুবেল)
প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় বিক্ষোভ ও মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার চান্দুরা ডাকবাংলো মোড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ কর্মসূচির ফলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে বিজয়নগর থানা পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের ব্যনারে এ কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, হেফাজতে ইসলামি ও এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেন। বক্তারা বলেন, বিজয়নগর একটি ঐতিহ্যবাহী ও ভৌগোলিকভাবে সুসংগঠিত উপজেলা। এর দশটি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি, চান্দুরা, হরষপুর ও বুধন্তিকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে যুক্ত করার প্রস্তাব বিজয়নগরবাসীর আত্মমর্যাদার ওপর আঘাত।
তারা আরও বলেন, প্রায় দুই লক্ষাধিক ভোটারবিশিষ্ট বিজয়নগর উপজেলা একটি একক সংসদীয় আসনের জন্য উপযুক্ত। অথচ বছরের পর বছর ধরে এই উপজেলার অংশবিশেষকে সদর, নাসিরনগর কিংবা সরাইল আসনে সংযুক্ত করে জনগণকে অবহেলার শিকার করা হচ্ছে। নতুন সীমানা পুনর্বিন্যাসে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
চান্দুরা ইউনিয়নের জামায়াতের,সভাপতি লুৎফুর রহমান, উপজেলার রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ডা: আলী নেওয়াজ ও সেক্রেটারি শিহাব হোসেন বলেন, বিজয়নগরের তিনটি ইউনিয়নকে কেটে অন্য আসনে যুক্ত করা খুবই হতাশাজনক। এতে প্রশাসনিক কার্যক্রম ও উন্নয়ন ব্যাহত হবে। হেফাজতে ইসলামির উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আফজাল হোসেন বলেন, বিজয়নগরকে দুইভাগ করে বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে। জনগণের মতামত উপেক্ষা করে এমন সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
উপজেলা বিএনপি সেক্রেটারি, এডভোকেট ইমাম হোসেন, শরিফুল ইসলাম লিটন, ডাক্তার রফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেন সালাম, বিআরডিবির সভাপতি জহিরুল ইসলাম, ছায়েদ খন্দকার, মাহাবুবুর রহমান, শাহ আলম মাস্টার, হুমায়ুন কবির খান, রাষ্ট্রু সরকার, সাঈদ খোকন,
সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খসড়া বাতিলের দাবি জানানো হয়। দাবি না মানলে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধসহ আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।